‘নিয়তির লিখন’ ভাবিসঃ দুখ কমে যাবে!

আলমগীর মাহমুদ

উখিয়া উপজেলা নির্বাচনের আপোষরফা, ইয়ং জেনারেশনের মনে ভোরের আকাশে কাল বৈশাখীর তাণ্ডব বয়ে দিয়েছে। কোন মতেই মনেরে বুঝাতে পারছে না কেন এমন হইল!

অন্তঃজ্বালায় পেটের ক্ষিধে,চোখের নিদ তাদের বেদখলে।স্বস্তির অন্বেষায় ফোন দিচ্ছে– এর কাছে,ওর কাছে। যদি মেলে একটু শান্তি স্বস্তি! পেটের খিদে, ঘুমানোর দাওয়াই। সরস কাহিনীর নীরস সত্য!

নেতার সম্মান ব্যক্তিত্বের অংশীদার বনে ঐ এলাকার এলাকাবাসী। নেতার বড় ব্যক্তিত্ব এবং গুনধর অর্জন থাকিলে ঐ এলাকার মানুষ অন্য এলাকার মানুষের কাছে স্ট্রা কিছু সমীহ পায়। এলাকাবাসী ও কথাচ্ছলে তার নেতার পরিচয়টি জাহির করিতে সুযোগ খোঁজে।

এমনসব গৌরবের অংশীদার হামিদ চৌধুরীকে নিয়ে বনতে পারবে না বলে নয়, তাদের এই অভিমান। মাহমুদুল হক চৌধুরীর পছন্দের কারণেও নয় দুঃখ। দুখগুলো তাদের একান্তই নিজস্ব।

এক
প্রত্যেক ভোটের দিন সকালবেলা। গোসল সেরে নুতন জামাকাপড়। বয়স্করা খানিক তৈল,আতর। জোয়ানেরা বডি ষ্প্রে। হাতে ভোটার কার্ডখানা।

বাড়ির সবাইকে আয় সবাই, ফাষ্ট টাইম ভোট দিয়ে দিতে হবে। দেখিস সীল কিছু অংশও যদি বাইরে পড়ে ভোট পঁচে যাবে। খাওয়া কি খাইল,কি না খাইল ভাব ভাব। টেনশনে টান টান। মনে যে তার পছন্দের নেতাকে জিতিয়ে নেয়ার জেদী তাড়না।

কেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানো। রেজাল্ট পর্যন্ত ভালবাসার পাহারাদার বনা। প্রত্যেক ভোটের দিনটা ভোটারেরা ঈদের দিনের মতই উপভোগ করে।

১লা বৈশাখের উৎসব উৎসব আমেজে। দিনটি আসে পাঁচ বছরে একবার।এবার তাদের জীবনে রোজা এসেছে ঈদ আসেনি।

দুই
নাগরিক এবং নেতার মধ্যে গণতন্ত্রের মিথষ্ক্রিয়া ঘটে নির্বাচনকে ঘিরে। Out of side, out of mind চোখের আড়াল হলে মনেরও আড়াল হয়।
নেতার সাথে ভোটারের দেখা সাক্ষাৎ ঘটার সুযোগ আসে নির্বাচনকে ঘিরে।এটা অনেকটা নেতার সাথে নেতা কর্মী, ভোটারের ভালবাসার রিনিউ কোর্সের মতই।

যাহ বিনে নেতা কর্মী, ভোটার, বন্ধনহীনে অবজ্ঞা অবহেলায় অচিন হয়ে পড়ে।

স্বস্তির সত্য ভাবনাই প্রশান্তি মোর!

হামিদ চৌধুরীর শারীরিক অসুস্থতা, রক্ত বমি,হাসপাতালের বিছানায় অন্তিম শয়নে। ঝুলছিল স্যালাইনের ডিব্বা। উনার সহধর্মীনি, মাহমুদুল ভাইয়ের কোলেই করে যাচ্ছিলেন রক্তের ফানা বমি।

বিদায়ীক্ষনে বৈরী জনও হয়ে উঠে আপনজন। এম.পি আবদুর রহমান বদির সাথে ছিল উনার রাজনৈতিক কারনে মনের দুরত্ব। এম,পি বদি সাহেব ছুটে যান। চিকিৎসা থেকে নির্বাহ পর্যন্ত খবর নেন। সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। তিনি পুরো পরিবারকে মনের সাহস যোগান। চির রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সাবেক এম,পি শাহজাহান চৌধুরী ও শেষ দেখে আসেন ঢাকায়।

এমন অসুস্থতা থেকে তুলে আল্লাহ উনাকে হজ্ব করিয়েছেন।হজ্ব থেকে এসে এম,পি বদির সাথে মিরাকল ঘটনায় সম্পর্ক ভাল হয়ে বাড়ির দাওয়াত পর্যন্ত গড়ায়।

এম.পি বদিকে বঙ্গমাতা কলেজের সভাপতি করে আনেন।এরপর আসে এম,পি,নির্বাচন। যাহ সবাইর জানা। হামিদ চৌধুরী এম,পি বদির হয়ে ঢাকা যান। উনাকে প্রধানমন্ত্রী যখন এম,পি,র প্রস্তাব রাখেন। তখনও উত্তর ছিল “মেডাম আমি অসুস্থ” আমার ভাইঝি বদির স্ত্রীকে দেয়া হউক আমি কাজ করবো।

উপজেলা নির্বাচনে এসে চির বৈরি বাঘে মহিষে একঘাটে জল খাইল। এম,পি বদিই হয়ে উঠল হামিদ চৌধুরীর স্বপ্নমানব।আবদুর রহমান বদির ভালবাসার কাছে নতি স্বীকার করে মাহমুদুল হক চৌধুরী নিজেরে সমর্পণ করে। যাহ কখনও ছিল না হবার!

আরশ আজীমে আল্লাহপাক যেটা কবুল করেন, দিতে চান। তারে শত্রুমিত্র একঘরের করে পূর্ণতা দেন।হামিদ চৌধুরীর এই পূর্ণতা ঐশী। খেলা নীচে নয়..উপরে… আরশ আজীমে…! আসুন উনার মঙ্গল কামনা করি।

লেখকঃ- বিভাগীয় প্রধান (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ)

উখিয়া কলেজ,কক্সবাজার।
ইমেইল- alamgir83cox@gmail.com